পোস্টগুলি

ছবি
কম্পিউটার বিজ্ঞানের ইতিহাস আধুনিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের উৎস হিসেবে ইংরেজ বিজ্ঞানী   চার্লস ব্যাবেজের   কাজকে উল্লেখ করা যায়। ব্যাবেজ ১৮৩৭ সালে একটি প্রোগ্রামযোগ্য যান্ত্রিক গণনাযন্ত্র বা   ক্যালকুলেটর   প্রস্তাব করেছিলেন। তবে তারও আগে ১৬২৩ সালে   ভিলহেল্ম শিকার্ড   প্রথম যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর তৈরি করেছিলেন বলে জানা যায় , যদিও এটি প্রোগ্রামযোগ্য ছিল না। ১৯ শতকে   জর্জ বুল   উদ্ভাবিত   বুলিয়ান বীজগণিত   দ্বিমিক বা বাইনারি পদ্ধতি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ বর্তনী তৈরির গাণিতিক ভিত্তি প্রদান করে। ১৯৪০ - এর দশকে   ইলেকট্রনিক ডিজিটাল কম্পিউটারের   আবির্ভাবের আগ পর্যন্ত কম্পিউটার বিজ্ঞানকে   বিজ্ঞান   বা   প্রকৌশলবিদ্যার   চেয়ে একটি আলাদা শাস্ত্র হিসেবে গণ্য করা হত না। তবে এর পর থেকে এটি অনেক শাখা প্রশাখার জন্ম দিয়েছে , যেগুলো একান্তই কম্পিউটার বিজ্ঞান সম্বন্ধীয়। ১৯৫০ ও ১৯৭০ - এর দশকের মধ্যবর্তী সময়ে কম্পিউটারের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা এসময় কম্পিউটারের ব্যবহার সরল করার
দৈনিন্দিন জীবনে কম্পিউটার বিজ্ঞানঃ কম্পিউটার বিজ্ঞান   জ্ঞানের একটি শাখা যেখানে   তথ্য   ও   গণনার   তাত্ত্বিক ভিত্তির গবেষণা করা হয় এবং   কম্পিউটার   নামক যন্ত্রে এসব গণনা সম্পাদনের ব্যবহারিক পদ্ধতির প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।   কম্পিউটার বিজ্ঞানকে প্রায়শই  অ্যালগরিদমীয় পদ্ধতির  একটি বিধিবদ্ধ অধ্যয়ন হিসেবে অভিহিত করা হয়, যে পদ্ধতির সাহায্যে তথ্য সৃষ্ট, বর্ণিত ও পরিবর্তিত হয়। কম্পিউটার বিজ্ঞানের অনেক উপশাখা আছে। কিছু শাখা, যেমন  কম্পিউটার গ্রাফিক্‌সে  নির্দিষ্ট ফলাফল গণনাটাই মূল লক্ষ্য। আবার কিছু শাখা, যেমন  গণনামূলক জটিলতা তত্ত্বে  (Computational complexity theory) বিভিন্ন গণনা সমস্যার বৈশিষ্ট্যসমূহ বিশ্লেষণ করাই আলোচ্য। এছাড়াও কিছু শাখা আছে যেখানে বিভিন্ন ভৌত ব্যবস্থায় গণনা বাস্তবায়ন করার পদ্ধতি সমূহ আলোচিত হয়; যেমন  প্রোগ্রামিং ভাষা তত্ত্বে  একটি গণনামূলক পদ্ধতিকে কীভাবে কম্পিউটারের ভাষায় প্রকাশ করা যায় তা আলোচনা করা হয়। কম্পিউটার প্রোগ্রামাররা বিভিন্ন  প্রোগ্রামিং ভাষা  ব্যবহার করে নির্দিষ্ট গণনামূলক সমস্যা সমাধান করে থাকেন। অন্যদিকে  মানুষ-ক
ছবি
##### প্রযুক্তি কি ?????? প্রযুক্তি  (Technology) বলতে কোন একটি প্রজাতির বিভিন্ন যন্ত্র এবং প্রাকৃতিক উপদান প্রয়োগের ব্যবহারিক জ্ঞানকে বোঝায়। নিজের প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে প্রজাতিটি কেমন খাপ খাওয়াতে পারছে এবং তাকে কিভাবে ব্যবহার করছে তাও নির্ধারণ করে প্রযুক্তি। মানব সমাজে প্রযুক্তি হল  বিজ্ঞান  এবং প্রকৌশলের একটি আবশ্যিক ফলাফল। অবশ্য অনেক প্রাযুক্তিক উদ্ভাবন থেকেই আবার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের অনেক জ্ঞানের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। মানব সমাজের প্রেক্ষিতে প্রযুক্তির সংজ্ঞায় বলা যায়, " প্রযুক্তি হল কিছু প্রায়োগিক কৌশল যা মানুষ তার প্রতিবেশের উন্নয়নকার্যে ব্যবহার করে। " যেকোন যন্ত্র এবং প্রাকৃতিক উপাদান সম্বন্ধে জ্ঞান এবং তা দক্ষভাবে ব্যবহারের ক্ষমতারকেও প্রযুক্তি বলা হয়। আমরা যে  পৃথিবী  তে বাস করি তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করি। প্রযুক্তি হল জ্ঞান, যন্ত্র এবং তন্ত্রের ব্যবহার কৌশল যা আমরা আমদের জীবন সহজ করার স্বার্থে ব্যবহার করছি।